• সৃষ্টির তরে কল্যাণ ধারা করিয়া বর্ষণ
    তৃপ্ত হন মহান দাতা প্রভু নিরঞ্জন।
  • ফুল ফুটে ফুটে যদি না ঝড়ে যায়–
    কি করে নতুন ফুল ফুটবে তথায়।
  • দুর্গ অপেক্ষা মানুষের মন জয় করা কঠিন
    তার চেয়েও কঠিন আত্মনিয়ন্ত্রণ।
  • জৈবদেহের লিঙ্গভেদ হয়–
    আত্মার বিচারে কেউ নারী-পুরুষ নয়।
  • পরিণয়ে প্রেমের মৃত্যু হয়–
    জীবন-সংসার যুদ্ধময়।
  • বিয়ে হচ্ছে নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক হয়ে
    জীবন যাপনের সামাজিক ও ধর্মীয় বিধিবদ্ধ রেওয়াজ।
  • ধন অপেক্ষা জ্ঞান আহরণ কঠিন
    তার চেয়ে কঠিন জ্ঞানের সৃষ্টি।
  • বৈরি প্রকৃতি জীবনকে সহিষ্ণু করে
    উদারতা করে উদাস।
  • হৃদয়ের রাজ্য নিঃসীম স্বাধীন
    আইনের শাসন মানে না, বাধা-বন্ধনহীন।
  • তরিৎ অপেক্ষা জ্যোতি অধিক গতিময়
    তার চেয়ে গতিময় মানুষের মন।
  • গুরুভক্তির নমুনাস্বরূপ সালাম ঠুকি পা’য়–
    ভাবি না কভু, কত ত্যাগ করেছিল মা’য়।
  • তরুকে অবলম্বন করিয়া লতারা আকাশ ছোঁয়
    আর গুল্মেরা পড়ে থাকে হাঁটুর সীমানায়।
  • স্বাধীন স্বাধীন বলে আর কাঁদিস নারে মন
    স্বাধীন হওয়ার শর্ত আগে আত্মনিয়ন্ত্রণ।
  • ভাব সাগরের বিজ্ঞ নাবিক জানি না সন্তরণ
    গহীন জলে সদাই ডুবাই শোলার মতো মন।
  • কালো মানুষের যেমন সাদা হওয়া কঠিন
    তার চেয়েও কঠিন আমাদের সভ্য হওয়া।
  • একাকিত্ব মানুষকে নীরবে কাঁদায়
    আর অর্থকষ্ট নিদারুণ ভোগায়।
  • করুণা সিন্ধু চাহি না বন্ধু
    ভালোবাসা দিও এক বিন্দু।
  • কুসুমবনে যতই হাঁটো, ফুল খুঁজে হও হন্যে
    কাঁটার আঘাত সইতে পারে, কুসুম তারই জন্যে।
  • জীবনের চেয়ে সম্মান বড়
    তার চেয়ে বড় ঈমান।
  • উদ্গত অঙ্কুর প্রস্ফুটিত
    ফুলের চেয়েও মহিমাময়।
  • যতবার বিশ্বাস করেছি ভবে– ঠকেছি ততবার
    তোমায় শুধু বিশ্বাস করি নিয়ত অনিবার।
  • আগুনের ফুল দেখে মুগ্ধ হলাম
    উত্তাপ নিতে গিয়ে দগ্ধ হলাম।
  • ত্রিভুবন যার হাতের মুঠোয়
    আমি তারে খুঁজবো কোথায়?
  • শ্রাবণ না আসলে আসিত না অঘ্রান
    দুঃখ না থকেলে সুখে ভরিত না প্রাণ।
  • আমার ভেতর পশু আছে, সেই পশুকে বাঁধি
    আমার ভেতর প্রভু আছে, সেই প্রভুকে সাধি।
  • মনের ভেতর বেমিল হলে মধুও হয় বিষ
    কাঠের মতো শক্ত লাগে আঙ্গুর-কিসমিস।
  • কাগজ-কলম ক্ষয় করিয়া মিটাই মনের ঝাল
    নয় তো বুঝি হয়ে যেতাম পথের পাগল।
  • আমি সাদুজলে শরবতের স্বাদ পাই
    শরবত যেন অমৃত, তবু তৃষ্ণা অনিবার।
  • ক্ষণিকের পথচলা, এই আয়োজন–
    জীবন ভরিয়ে দিল, ভরে না তো মন।
  • জগৎ জ্বালায় জ্বলি যখন খুবই
    তখন আমার নিজ বাগানের গহীন দারে ডুবি।
  • অতুল তুমি চিরহরিৎ, উপমা তোমার নাই
    আমার মাঝে শুঁকে আমি তোমার গন্ধ পাই।
  • পৃথিবীর শৈত্যপ্রবাহ আমাকে অবশ করেনি
    করেছে শীতল নিঃশ্বাস।
  • অহংকার দিও না প্রভু, প্রেম দাও আরও
    বিশুষ্ক মরুমনে প্রেম দাও তারও।
  • অনন্ত প্রেম সন্ধানে আস্বাদন করি ছোট ছোট প্রেম
    সোনার খনি অন্বেষণে মাটি খুঁড়ে নিই কণা কণা হেম।
  • সাত সমুদ্র তোমার চোখে, তের নদী বুকে
    কত ব্যথা লুকিয়ে রাখ সদা হাসি মুখে।
  • প্রেম ভূবনের বিজয়িনী, হৃদয়-রাজ্যের রাণী
    স্বর্গের সুখ দিলে তুমি মর্ত্যের ধূলোয় আনি।
  • তোমার-আমার দেখা হবে চিরকাল
    মাঝখানে রবে এক কাঁচের দেয়াল।
  • অতীতকে ভুলে যাও, সম্মুখ পানে চাও
    থেমে থেকো না আর, আবার এগিয়ে যাও।
  • হৃদয় রসে ধুয়ে নাও উগ্র আনন
    আপন মাঝে গড়ে তোল স্বর্গ কানন।
  • আমার কর্মস্থল যেন সাধনার তীর্থ, কাজ যেন তপস্যা
    তবু এমন কাজ করি না কখনও যাতে আসে প্রতিষ্ঠা।
  • ভণ্ডদের আস্তানায়
    মূর্খগণই ভক্ত।
  • মানব-মানবী না এলে দুনিয়ায়–
    ধরণী পূর্ণ হতো ঘন আগাছায়।
  • জীবনে-যৌবনে তোমাকে কিছুই দিতে পারি নাই
    একটি কবিতা লিখব বলে আলপনা এঁকে যাই।
  • ভালোবাসা হৃদয়কে কোমল করে
    অভিমান প্রেমকে পরিপক্ব করে।
  • ন্যায়ের যুদ্ধ আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করে
    অন্যায় যুদ্ধ সভ্যতাকে ধ্বংস করে।
  • আদর-স্নেহ ভালোবাসা বাড়ায়
    আর তিরস্কার দূরে তাড়ায়।
  • যেই নৌকায় মাঝি নাই–
    দাড় টেনে কি মজা পাই?
  • তোমায় স্মরি, তোমায় বরি, তোমায় করি নমস্কার
    তুমি আমায় ক্ষমো প্রভু! কর মোরে তিরস্কার।
  • কলম কষুক কাগজ ’পরে, লাঙল চষুক ক্ষেত-খামারে
    ভালোবাসার আবাদ ঘটুক সব মানুষের হৃদয়পটে।
  • রূপছটা মুখখানি মমতার জলে ধুয়ে–
    চেয়ে দেখ মায়াবি জগৎ তোমার চরণ রয়েছে ছুঁয়ে।
  • হৃদয়ের রজ্জু ছাড়া পৃথিবীতে এমন কোনো শক্ত দড়ি নাই
    যা দিয়ে মানুষকে আপন করে চিরদিন বেঁধে রাখা যায়।
  • জীবনের পদে পদে যুদ্ধে যুদ্ধে জিতিয়াছি বিশ্ব
    তোমার কাছে উপেক্ষিত, তিলে তিলে নিঃস্ব।
  • সমুদ্রে নতজানু আকাশ– এ শুধু দৃষ্টির বিভ্রম
    সাগরের কিনারা আছে, আকাশ নিঃসীম।
  • প্রেম! কত ঘুম কাড়িয়া নিয়াছ জীবন থেকে, দিয়েছ আশ্বাস
    মেলাশেষে বেলাশেষে দিয়েছ বঞ্চনা, দীর্ঘশ্বাস।
  • মদ আর মোহডোরে নর-নারী বাঁধলে
    মা আর মানুষকে মায়াবাঁধ সাধলে।
  • কলের চাকা বন্ধ করো না, বন্ধ চাকা চালাও
    ধ্বংসলীলা বন্ধ করে মনের আগুন জ্বালাও।
  • বধূরা অভিমান করে, তুমি বৈরি হলে–
    আমি মনাগুনে পুড়লাম, ভাসলাম লোনা জলে।
  • যাদু সূক্ষ্ম-কঠিন বাস্তব, যদি মন্ত্র হতো
    তবে আমি তা শিখতাম।
  • তোমার ভালোবাসার তরে– হে মহামতি!
    আমি পুজিব তারে, যে তোমার প্রিয় অতি।
  • আমি প্রেম করি নাতো, সবই কর তুমি
    অন্তঃপুরে তোমার ছোঁয়ায় আপন হস্ত চুমি।
  • ইব্রাহিমের পদছোঁয়ায় হে কালপাথর! ধন্য তুমি
    যথায় চুম্বন করতেন হাজেরা ও ইসমাঈল, আমরা তথায় চুমি।
  • প্রাণের নেশায় রাত্রি জাগি, দিবসকে দিই চুম
    অহর্নিশি ভালোবাসায় নির্বাসিত ঘুম।
  • তোমার সুখে সুখী আমি, তোমার দুঃখে কষ্ট পাই
    তুমি যদি সুখে থাক– আমার কোনো যুদ্ধ নাই।
  • চোখের জলে ভালোবাসার স্বরূপ দেখতে চাইনি আমি
    হাসিতেও থাকতে পারে প্রাণের আকুলতা।
  • সাধনায় স্বর্গসিদ্ধি, জ্ঞানে সিদ্ধি আলো
    আপন মাঝে স্বর্গ আছে, হৃদয়-প্রদীপ জ্বালো।
  • কোনো এক বিষাদ ক্ষণে লিখেছিলাম গান–
    আজও গাই সে গীতি, ভুলে থাকতে ব্যথার বাণ।
  • পরাগরেণুর কান্না শুনে ঝড়া বকুল ফুলে
    ব্যথাভরা হৃদয় দিয়ে নিয়েছিলাম তুলে।
  • কুল কিনতে গিয়ে কিনেছি বকুল
    ডালিম কেনার সাধ্যও ছিল আমার।
  • সূর্যোদয়ের জবার সাথে প্রত্যহ ফুটি আমি–
    সুদূর দূরান্ত ভেদ করে শুধু দেখাতে পারি না তোমারে।
  • স্বপ্নের ডানায় ভর করে মন ওড়ে
    জীবন চলে বাস্তব ভিতির ওপর।
  • শৈশব খেলার আর যৌবন যুদ্ধের
    বার্ধক্য জীবনের হিসাব মেলাবার।
  • এলেমের চেয়ে আমল বড়
    আমল ছাড়া এলেম নিষ্ফল।
  • মহান আল্লাহর স্বরূপ দর্শন দুই নয়নে সম্ভব নয়
    অনুমানও অসম্ভব, শুধু অতিন্দ্রিয়ে অনুভূত হয়।
  • আইন মানার অর্থ মরতে বলা নয়–
    নিজে বাঁচতে ও অপরকে বাঁচাতে বলা হয়।
  • ধন ও দারিদ্র্যের মধ্যবর্তী থাকে প্রকৃত সুখ
    উষ্ণ ও শৈত্যের মাঝামাঝি থাকে প্রশান্তি।
  • তুমি দূর আকাশের তারা হয়ে থেকো স্মৃতিময়
    অনন্ত যৌবনা কুমারী হয়ে থেকো মোর কবিতায়।
  • ক্ষণিকের তরে হাসুক সবাই, ভুলে যাক দুঃখ সকল
    জীবনের গান বাজুক প্রাণে, ফিরে পাক নতুন বল।
  • ভালোবেসে জ্বালা পেয়ে অন্তর পুড়ে হয় অঙ্গার
    চিত্তরসে পিত্তকে ধুই, বুকে জল ঢালি গঙ্গার।
  • নবজাত সন্তানের মায়া
    মাতৃত্বের যন্ত্রণাকে ভুলিয়ে দেয়।
  • ধনাত্মক-ঋণাত্মক শিহরণ প্রীতি
    সৃষ্টিলীলায় এক মৌলিক রীতি।
  • জগৎ-সংসারে সৎ সহচর
    বিধাতার সেরা উপহার।
  • নিশিতে জাল বুনি, দিবসে হাল ভাঙি
    দিবা-রাতি স্বপনের মূর্ত রাঙি।
  • যুদ্ধ পুরুষের জন্য, আর নারীর জন্য সংসার
    নারী-পুরুষ সমান না হলে গৃহ অসাড়।
  • তুমি উদার, তুমি মহান, তুমি প্রাণময়
    ত্রিলোক পরিহারি আমি তোমাকে করিব জয়।
  • সবার মাঝে সেই শ্রেষ্ঠজন
    আছে যার আত্মনিয়ন্ত্রণ।
  • সত্যের অন্বেষণে কেউ তপবনে যায়
    কেউ ‘সত্যের’ মুখোমুখি প্রতিদিন হয়।
  • স্বার্থপর মানুষ দ্বারা বিচার হয় না ন্যায়নিষ্ঠ
    যদিও তিনি কাজীর আসনে হন উপবিষ্ট।
  • আমার বাবার কাছে তুমি ঠকেছ মা
    কিন্তু তুমি আমার বাবাকে ঠকিও না।
  • তুমি আমার মায়াবন
    মা আমার পৃথিবী।
  • চন্দ্রোদয়ে সাগর ভীষণ আন্দোলিত হয়
    কিন্তু সাগর কখনও চাঁদকে ছুঁতে পারে না।
  • উদাস মাঝি জোয়ার গাঙে দখিনা হাওয়ায়
    পাল উড়িয়ে ভেসে চলি মনপবনের নায়।
  • ত্রিভুবনে এমন জায়গা কোথায় খুঁজে পাই
    যেইখানে মোর মহান প্রভু আল্লাহ্তায়ালা নাই।
  • নিয়ামত! কে তুমি? কে তোমার মা
    কে-বা আমি! চিনতে পারলাম না।
  • স্বপ্নবিভোর তন্দ্রা ভেঙে দেখি- একি অসহায়
    তোমার কণ্টকাকীর্ণ পথে আমি নগ্ন পায়।
  • মর্ত্যের ধূলায় পড়ে স্বর্গের শিশু কাঁদে
    উৎসমূলে ফিরে যেতে আজন্ম সাধে।
  • অবিচল শুয়ে থাকি বলে, ঘুমিয়ে আছি ভাবো তুমি
    একবার ছুঁয়ে দেখ, কি আগুন পুষি আমি।
  • তোমাকে দেখবো বলে সারারাত জ্বেলে রেখেছিনু বাতি
    ক্ষণিকে পোহাল সেই সুদীর্ঘ রাতি।
  • তুমি আছ বলে নিয়ামত আমায় খুঁজবে না
    হয়তো তুমি আমায় খুঁজবে।
  • আল্লাহ্ তাঁহার সকল সৃষ্টি ভালো-মন্দ পোষেণ
    সীমালংঘন করলে তিনি তাহার প্রতি রোষেণ।
  • নীরব আসা-যাওয়ার মাঝে হয়তো কিছু স্মৃতি
    রইবে কিছু দিন, আড়ম্বরহীন।
  • বিরহের রাজ্যে কবিতার সম্ভার, কর্ষিত অনাবাদী ভুঁই
    মিলনের রাজ্যে বিরান পদ্যভূমি, বাঘিনীর গা মেখে শুই।
  • মুখ তার মধুমাখা, মাদকতা দেহে
    প্রাণ তার প্রেমে ভরা, স্বর্গধারা গেহে।
  • তুমি আমায় খুঁজে পাবে, তবু পাবে না আমায়
    অদৃশ্য দেয়াল থাকবেই চিরকাল।
  • শূন্য হাতে বিদায় নেবে চোখে নিয়ে জল
    পূণ্য শুধু সঙ্গে যাবে, পাপে জনম বিফল।
  • নিঃশ্বাসে-বিশ্বাসে ধ্যানে-জ্ঞানে তোমায় স্মরি বারংবার
    আমার মাঝে তুমি আছ এই তো অহংকার।
  • রক্তগঙ্গা করি না ভয়, ভুবন করিব জয়
    তোমার চোখে জল এলে আমার রণভঙ্গ হয়।
  • সাড়ে তিন হাত মানুষ চেন, বোঝ না অন্তর
    মনের মাঝে উদার আকাশ, নিঃসীম প্রান্তর।
  • তোমার সাথে ভালোবাসা ছিল, ছিল না পঙ্কিলতা
    অনেক কথা বলার ছিল, তবু ভাঙেনি নীরবতা।
  • কখনো নদীর কাছে যাই, পাহাড়ে হেলান দিয়ে ঘুমাই
    তুমি আছ সকলখানে, এ মনে তোমার ছোঁয়া পাই।
  • জন্ম থেকে জীবনের যুদ্ধ প্রতিদিন করি জয়, প্রিয় পরিজন
    জগৎ-সংসারময়- নিজেকে কখনো বড় একা মনে হয়।
  • আমার সাম্রাজ্য তোমায় দিয়ে আমি হই অতিথি
    তুমি সামন্ত শাসক সেজে আমায় কর কয়েদী।
  • আমার মায়ের দীপ্ত আনন স্বর্গকানন ফুল
    ধেয়ানের প্রতীমা জননী মন্দির সমতুল।
  • তুমি-আমি প্রিয়তম এই ছোট ঘর
    মমতা জড়ানো ধরা স্বর্গ উপম।
  • ক্ষণিকের পথচলা, এই আয়োজন–
    জীবন ভরিয়ে দিল, ভরে না তো মন।
  • পথের ক্লান্তি ভরা শ্রান্ত দেহ এলিয়ে দিলে শুভ্র বিছানায়
    অপশ্রীয়মান মুখের বিভায় ঘর হলো বর্ণময়।
  • কাঙাল হয়ে কোনো দিন দাঁড়াব না তোমার দারে
    যদি দাঁড়াই- সে তোমার ভালোবাসার অধিকারে।
  • প্রভু কাউকে দেয় না শাস্তি, সে তো দয়াময়
    করুণা যেথা বন্ধ করে, গজব সেথা হয়।
  • অতীতের দুঃখ-বঞ্চনা অভিমান ভুলে
    ভালোবাসার কথা কও হৃদয় খুলে।
  • এই দুনিয়ায় আপন বলি কারে, সবাই নিজের তরে
    আপন হিতে সবাই পাকা, কেউ না কাকে ছাড়ে।
  • আমার সম্মান-মর্যাদা তোমার কাছে গচ্ছিত
    আমাকে কোথাও খাটো করিও না।
  • মহান আল্লাহ্ যাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন
    তাকে আগেই উত্তরণের ক্ষমতা দান করেন।
  • পবিত্র হাত সত্যের অস্ত্র ধরে
    আর্তের সেবা করে।
  • এই পাপি মুখখানা মোর কোনখানে লুকাই
    যেইখানেতে মহান প্রভু আল্লাহ্তায়ালা নাই।
  • ব্যাভিচারীর অঙ্গকর্তন করলেও থামবে না অপরাধ কর্ম
    যতক্ষণ না মানুষ মানবে মানবীয় অনুপম ধর্ম।
  • একাকীত্ব নির্জন পথে অভিসারী মন
    লীলায়িত স্বর্গের সুখ করে আস্বাদন।
  • যেই ঘরেতে আমোদ নাই
    শ্মশানপুরীর গন্ধ পাই।
  • ফোটার অনুভূতি, ছোটার আনন্দ মোর
    কোথায় হারিয়ে গেল দূরন্ত কৈশোর।
  • পাপ ছাড়ে না বাপেরে
    গুঁই ছাড়ে না সাপেরে।
  • অতুলরূপে বানিয়েছ মানুষ এই মহাজগৎসংসার মাঝে
    তাই তো জীবন-মরণ পুতুলখেলা শুধু তোমাকেই সাজে।
  • পেটের ক্ষুধা মেটে খাদ্যে
    মনের যাতনা মেটে পদ্যে।
  • অষ্টাদশের যুবক যেমন ষোড়শীর প্রেমে পড়ে
    আমি ভাষাকে ভালোবাসতাম তেমনি করে।
  • তোমার চোখে নিঃসীম আকাশ, অথৈ সমুদ্দুর
    তোমার বুকে গঙ্গা-যমুনা বইছে সুমধুর।
  • স্বর্গের দূরত্ব অতিক্রম
    জৈবদেহে সম্ভব নয়।
  • বিনয় মানুষকে উৎকৃষ্ট করে
    আর অহম করে নিকৃষ্ট।
  • ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়
    প্রাণপণ যুদ্ধ করেও তা সম্ভব নয়।
  • মানুষ বুদ্ধিমান, বিবেকবান এবং
    ষড়রিপুর প্রভাবে পাপপ্রবণ।
  • বুভুক্ষের কাছে খাদ্যই তার ঈদ
    ক্ষুধা মিটলে শান্তি-সুখের নিদ।
  • এই হাতে পুণ্য করি আর পাপেও এই হাত
    এই হাতে তোমায় সেবি, করি মোনাজাত।
  • নিজের পরিশ্রম দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা উত্তম
    আপন শ্রমে অন্যের কল্যাণ সাধন অনুপম।
  • ষাঁড়ের কেমন শিঙের জ্বালা, বোঝে না বোঁচা গাই
    গাভীর কত দুঃখ-যাতনা, দেখার কেহ নাই।
  • বধূ বৈরি কথা কয়, তবু আপন ঘরে রয়
    বুকের ভেতর অনুরাগের ফল্গুধারা বয়।
  • পড়তে গেলে শিখতে পারি জ্ঞান ও গুণের ছত্র
    কাব্যকথায় লিখতে পারি ভালোবাসার পত্র।
  • নাড়িছেঁড়া ধন, মায়া জাদুর বন্ধন
    মায়ের প্রাণভোমরা প্রিয় সন্তান।
  • আমার কর্ম আমিই দেখে পাই যখন শান্তি
    তখন বুঝি এসব আমার শুধুই মনের ভ্রান্তি।
  • পুণ্যের গোলা ছাই করে দিতে পারে
    পাপের কিঞ্চিত কণা আগুন।
  • আরাধ্য মাতৃত্ব-পিতৃত্বের স্বাদ-অনুভূতি
    জীবনকে পরিপূর্ণ সার্থক করে দেয়।
  • যতক্ষণ জীবন ততক্ষণ যুদ্ধ
    ভালোবাসার আগুনে পুড়ে হৃদয় হোক শুদ্ধ।
  • মিথ্যা প্রলাপ
    পাপের প্রারম্ভিকা।
  • ক্ষীণ মনের মানুষেরা আত্মগর্ব করে
    অপরকে খর্ব করার চেষ্টা করে।
  • জীবেরা স্বার্থক হয় জন্মে
    মানুষ স্বার্থক কর্মে।
  • অনুতাপের আগুনে না পোড়ালে মন
    কোনোকালে হবে না স্বর্গসাধন।
  • শিয়াল ধূর্ত এবং ভীত
    সিংহ বীর নিঃসংশয়।
  • পতঙ্গবৃত্ত মন আমার
    পাখা মেলে আগুনে।
  • শিপ চালাতে ক্যাপ্টেন লাগে
    নাও চালাতে মাঝি।
  • নিরুদ্বিগ্ন নিঃসংশয়
    শুয়ে আছ মাটির কোলে চিরনিদ্রায়।
  • জীবনে সৎ সহচর
    বিধাতার সেরা উপহার।
  • ভাবুক চিত্ত
    নয় একাকিত্ব।
  • এই দুনিয়ায় একি দেখি হায়, কেউ কারো নয়
    স্বার্থের টানে আপন পর হয়ে যায়।
  • আল্লাহ্ যাহার অন্তঃপুরে
    পাপ থাকে তার বহু দূরে।
  • যার ঈমান আছে আজরাইল তারে ডরায়
    শয়তান থাকে বহু দূরে।
  • রিপুর দোষে পাপ করেছি, মাফ করে দাও পরোয়ার
    তোমারই করুণা চাহে, বান্দা তোমার গুনাহ্গার।
  • অজ্ঞতার অন্ধকার কেটে জ্ঞানের আলোয় হোক ভোর
    জীবনের সব জড়া কেটে যাক তোর আর মোর।
  • স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন আঁকি, স্বপ্নের কোলে নিদ্রা যাই
    স্বপ্ন দেখে পথ চলি, স্বপ্নে পেরোই ছায়াপথ।
  • দুগ্ধ-কলায় পোষেণ ওঝা আদর করে যারে
    সুযোগ পেলে ফুসে ওঠে, ছোবল কষে ঘাড়ে।
  • আল্লাহর চরিত্রে যে চরিত্রবান সে আল্লাহর বন্ধু
    প্রেমাষ্পদের রঙে যে নিজেকে রাঙায় সে রঙের সিন্ধু।
  • তিক্ত হরিতকি চিবুলে পরে
    সাদুজলে শরবতের স্বাদ পাওয়া যায়।
  • সেই বড় দুঃখী
    ত্যাগে যে সুখী।
  • হাসিতে তৃপ্তি আছে
    কান্নায় আছে সুখ।
  • পৃথিবী নশ্বর, আর
    প্রেম অবিনশ্বর।
  • মূর্খের জবাব থাকে ঠোঁটে
    আর জ্ঞানীর থাকে মগজে।
  • কিছু কিছু পাপ পুণ্যের পথের কাঁটা সরিয়ে দেয়
    আর কিছু পাপ অবধারিত জাহান্নামে নিয়ে যায়।
  • অধম, নির্বোধ দীনহীন–
    জন্মের কাছে তোর আজন্ম ঋণ।
  • অনুগতরা স্তুতি লিখতে পারে
    ইতিহাস নয়।
  • নীরবতাই সম্মতির লক্ষণ হয়
    মৌনতা কেন প্রতিবাদ নয়।
  • মহান আল্লাহ মানুষকে অনেক মাহাত্ম্য দান করেছেন
    কিন্তু তিনি কাহাকেও অহংকার দান করেন নাই।
  • দান ফিরে আসে দুর্দিনে
    আপন কল্যাণে।
  • সোনার ফসল ফলছে মাঠে, সবার মুখে হাসি
    আমরা খাব নিরেট দানা, তোমরা নেবে ভুসি।
  • শ্যামল তরুরাজির নৈসর্গিক ছায়ায় আচ্ছাদিত
    গাঁয়ের বাড়িগুলো মন কেড়ে নেয় মায়ায়।
  • সময়ে গাছও কথা বলে, আবার
    অসময়ে মানুষও কাঠ হয়ে যায়।
  • কঠিন যন্ত্রণা, তীব্র অভিমান
    জীবনের প্রতি ক্ষোভ বাড়িয়ে দেয়।
  • পেটের ক্ষুধা নিবৃত্ত হয়
    মনের ক্ষুধা কখনও নয়।
  • রাজার মেয়ে তোমাকে রাজা বানাবে
    আর মুচির মেয়ে মুচিই বানাবে।
  • তুমি আমার মহারাণ্য
    মা আমার পৃথিবী।